রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশালে কারা নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নিতে এসে তৃনমুল নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হলো বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিনকে।এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তৃনমুলের দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ক্ষোভ আর ব্যর্থতার অভিযোগের কথাও শুনতে হয় তাকে। এ নিয়ে তৃনমুল নেতা-কর্মীদের কাছে অনেকটা নাজেহালও হন কেন্দ্রীয় এই নেতা।গতকাল বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে বরিশাল নগরীর সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্যাতিত ও কারা বরনকারী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এই ঘটনা ঘটে।মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার।প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় মীর নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসেছে। নির্বাচনের পূর্বে সরকার বিরোধী দলকে আশা দিয়েছিলো যে কোন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু নির্বাচনের কয়েক দিন পূর্বেই আমাদের সকল নেতা-কর্মীদের হয়রানী ও গ্রেপ্তার করেছে’।তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের বাইরে প্রভু সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমাদের সাথে বাইরের দেশের সম্পর্ক বন্ধুর মত। এই সরকার উন্নয়ন দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন বলেই তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে বন্ধি করে রেখেছে’।মীর নাসির উদ্দিন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত নিপিড়িত হয়েছেন আমি বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহানুভুতি জানাচ্ছি। বিএনপি সব সময় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলো এবং ভবিস্যতেও থাকবে’।এর আগে তৃনমুল নেতা-কর্মীদের প্রশ্নের সম্মুক্ষিণ হতে হয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিনকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবুল কালাম শাহীন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যে দিক নির্দেশনা দেয়া হয় তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা তৃনমুলে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও কেন্দ্র কোন মিছিল বা প্রতিবাদও জানায় না। তারা গ্রেপ্তারের ভয়ে চুপ করে ঘরে বসে থাকে। তাই কেন্দ্রের দিকে তাকালে আমরা হতাশ হই।কেন তারা রাজ পথে নামতে চায়না এমন প্রশ্ন তুলে আবুল কালাম শাহীন বলেন, আমরা নির্যাতিত হই, জেলে যাই। কিন্তু কেন্দ্র আমাদের খোঁজ নেয় না। আইনী বা আর্থিক সহায়তাও পাই না। কেন্দ্র শুধুমাত্র নির্যাতিত ও কারাবরণকারীদের তালিকার তৈরীর মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকে। এসব কারনে আমরা আন্দোলন সংগ্রামে উস্যহ পাইনা। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের সাথে যে কৌশল অবলম্বন করেছিলো তা মোটেই ঠিক হয়নি। তাদের ভুলের কারনেই আজ আমাদের এমন পরিনতি।এদিকে শুধুমাত্র আবুল কালাম শাহীনই নন, ঐক্যফ্রন্ট ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এমন আরো ক্ষোভ আর অভিযোগ তুলে ধরেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিনকে ক্ষোভ আর কষ্টের কথা গুলো তারেক রহমানের কাছে পৌছে দেয়ার দাবী জানান তৃনমুল নেতা-কর্মীরা।মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ আক্তার জাহান শিরিন, উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া প্রমুখ।
Leave a Reply